হাফিজুর শেখ যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
বাঁশেরপাতার চা ও বাঁশ খান, সুস্থ যদি থাকতে চান, নিয়মিত বাঁশ খান’।ব্যতিক্রমী এ স্লোগান ধারণ করে যশোরের ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান আইডিয়া পিঠাপার্ক সংযোজন করেছে ‘বাঁশ কাবাব ও বাঁশপাতার চা’। বাঁশ খাওয়াকে ইতিবাচকভাবে ছড়িয়ে দিতে এবং স্বাস্থ্যসম্মত ও ভেষজগুণসমৃদ্ধ খাবার ছড়িয়ে দেওয়ার মানসে নতুন এ দুটি খাবার যুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আইডিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার সাবেক সভাপতি শাহরিয়া ইয়াসমিন মীম জানান, আইডিয়া পিঠাপার্ক ‘বাঁশ কাবাব ও বাঁশপাতার চা’ খাবার সংযোজন করেছে। সরু তল্লা বাঁশের মধ্যে বিভিন্ন মসলা দিয়ে মেরিনেট করা মাংস কয়লায় পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে বাঁশ কাবাব। বাঁশের কচিপাতা প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হচ্ছে বাঁশপাতার চা।শাহরিয়া ইয়াসমিনের ভাষ্য, ‘বাঁশের নানা ঔষধি গুণ রয়েছে। কাঁচা বাঁশের মধ্যে থাকা রসে কয়লার আগুনে পুড়িয়ে রান্না করা মাংস খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি ঔষধি গুণসমৃদ্ধও। বাঁশ পুড়িয়ে রান্না করা মাংসে যোগ হওয়া কাঁচা বাঁশের ফ্লেভারও খাবারে যোগ করছে ইউনিক স্বাদ। পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে বাঁশজাতীয় খাবার পরিচিত হলেও যশোরাঞ্চলে বাঁশ পুড়িয়ে করা কাবাবের প্রচলন এই প্রথম। যশোর শহরের খড়কিতে আইডিয়া পিঠাপার্কে এলেই মিলবে অনন্য স্বাদের এই খাবার।’আইডিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থা ও পিঠাপার্কের প্রতিষ্ঠাতা যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হামিদুল হক শাহীন বলেন, এটি অভিনব ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ। কারণ বাঁশ ও বাঁশপাতার অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। বাঁশ কাবাব যদিও আদিবাসীদের উদ্ভাবন বলা চলে, আইডিয়ার কর্মীরা এর আধুনিকায়ন করেছেন। আর বাঁশপাতার চায়ের বিষয়টি একেবারেই ইউনিক। স্বাস্থ্য উপযোগী এ খাবারকে লালন করে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন, পরিবেশন ও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য এ প্রচেষ্টা।