// খুলনা ব্যুরো।।
খুলনার ডুমুরিয়ার রংপুর (কালীতলা) এলাকার এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবেশি গৃহবধু কে জোর পূর্বক ধর্ষন চেষ্টা ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ওই গৃহবধু গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাতে আড়ংঘাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রংপুর ইউনিয়নের কালীতলা এলাকার একজন স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী দু’সন্তানের জননী (৩২) কে তার প্রতিবেশি রংপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক প্রসূন বিশ্বাস পম্পি(৪১) প্রায়ই তাকে একা পেয়ে কু-প্রস্তাবসহ উত্ত্যক্ত করতো। এ নিয়ে গৃহবধু তার স্বামীকে জানালে বিষয়টি তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ পম্পির পরিবার কে জানায় এবং পম্পিকে ওই গৃহবধুর সাথে কথা বলতে এবং তাদের বাড়ির আশে পাশে ঘোরা ঘুরি করতে নিষেধ করে। এতেও পম্পি নিবৃত হয় না। এক পর্যায়ে গত ১৬ মে তারিখ রাত সাড়ে ৯ টার দিকে গৃহবধুর স্বামী বাড়িতে না থাকার সুবাদে তাকে ডেকে ঘরের বাহিরে এনে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা ও লাঞ্চিত করে। এ সময় গৃহবধুর ডাক চিৎকারে বাড়ির পার্শ্ববর্তি লোকজন ছুটে এলে পম্পি তাকে জীবন নাশসহ নানাবিধ ক্ষতির হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তিতে রাত ১১ টার দিকে গৃহবধুর স্বামী বাড়িতে ফিরলে তাকে ঘটনা খুলে বললে তিনি পম্পির কাছে কৈফিয়ত চাইতে বাড়ি হতে বের হন। এ সময় দেখতে পান পম্পি তাদের ঘরের দেয়ালের পাশে অন্ধকারের ভিতর দাঁড়িয়ে আছে।
এ সময় স্কুল শিক্ষক পম্পিকে ঝাপটে ধরে এবং তার স্ত্রীকে লাঞ্চিত করার জন্যে কৈফিয়ত চাইলে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়সহ হাতাহাতির মত ঘটনা ঘটে।স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদের ঠেকিয়ে দিয়ে দু’জন কে আলাদা করে দেয়। পরে পম্পি ওই গৃহবধু এবং তার স্বামীর জীবননাশসহ নানাবিধ হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায়। বর্তমানে ওই দম্পতি চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে প্রসূন বিশ্বাস পম্পি ঘটনার আংশিক স্বীকার করে বলেন,ওই গৃহবধু যে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন তা ডাহা মিথ্যা ও বানোয়াট। তবে স্কুল শিক্ষকের সাথে পূর্ব থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং এর কারনে আমার মতবিরোধ থাকায় ওই দিন রাতে কলেজ মাঠের পাশে তার সাথে আমার বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির মত ঘটনা ঘটেছিলো এটা ঠিক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আড়ংঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্যে একজন সাব ইন্সপেক্টর কে দায়ীত্ব দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট প্রাপ্তি সাপেক্ষে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।